Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

জেলার পটভূমি

সুলতান গিয়াস উদ্দিন বলবনের পুত্র সুলতান নাসির উদ্দিন বগড়াগণ ১২৭৯ থেকে ১২৮২ পর্যন্ত এ অঞ্চলের শাসক ছিলেন। তার নামানুসারে এ অঞ্চলের নাম হয়েছে বগড়া বা বগুড়া। বগুড়া  বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি  জেলা। ইহা রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত। বগুড়াকে উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার বলা হয়। ইহা শিল্পের শহর নামে পরিচিত। এখানে ছোট এবং মাঝারি ধরনের শিল্প কারখানা রয়েছে। বগুড়া  জেলায় প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাস রয়েছে। বগুড়া  জেলার মধ্যে বাঙ্গালী, করতোয়া, যমুনা ও নাগর নদী উল্লেখযোগ্য।

এ জেলায় মহাসড়কের দু’পাশে অবস্থান করছে প্রকৃতির অপরূপ সাজে সজ্জিত গ্রামগুলো। খাদ্য শস্য ও শাকসবজি উৎপাদনের ভান্ডার হিসেবে খ্যাত। এ জনপদের জনসাধারণের বহুদিনের আশা-আকাংখার প্রতিক শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, শহীদ চাঁন্দু আমত্মর্জাতিক ক্রিকেট ষ্টেডিয়াম, জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমী, এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ অন্যতম নারী সংগঠন পরবর্তীতে এনজিও হিসাবে পরিচিত ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ ( টিএমএসএস) এর সদর দপ্তর এ উপজেলার মধ্যে অবস্থিত। এছাড়া, গোকুল ইউনিয়নে মেধ নামক স্থানে ঐতিহাসিক বেহুলা - লক্ষিনদরের বাসর ঘর, চাঁদমুহা হরিপুর-সাহার বিল এলাকায় চাঁদ সওদাগরের বসতবাড়ি, নামুজা ইউনিয়নের চিংগাসপুরে পদ্মাদেবীর বাড়ি, লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের রায়-মাঝিড়ায় কালু গাজীর কোর্ট এবং নুনগোলা ইউনিয়নের হাজরাদিঘী এবতেদায়ী মাদ্রাসা সংলগ্ন সাপের ওঝাঁ ধনমত্মরীর বাড়ি অবস্থিত। উপজেলার প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় সার্কিট হাউজ সংলগ্ন নবাববাড়ি যা বর্তমানে প্যালেস মিউজিয়াম ও কারুপলস্নী নামে বহুল পরিচিত। ঐতিহাসিক আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ ও বগুড়ার উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরি যা ১৮৫৪ সালে স্থাপিত হয়েছে। উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরি সংলগ্ন স্থানে বৃটেনের রাজ পরিবারের সদস্য এ্যাডওয়ার্ড সপ্তম জজ এর একটি প্রাচীন ভাস্কর রয়েছে। বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদৎ বরণকারি দেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট ৭জন বীরশ্রেষ্ট সমত্মানের স্মৃতিসত্মম্ভ স্থাপনা উলেস্নখ্যযোগ্য। উত্তরবঙ্গে সর্বপ্রথম আমত্মর্জাতিক মানের চার তারাকা হোটেল নাজ গার্ডেন এবং শিশুদের চিত্তবিনোদনের স্থান ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক সদর উপজেলাতেই অবস্থিত। এ উপজেলায় তদানিমত্মন পাকিসত্মানের প্রধানমন্ত্রী জনাব সৈয়দ মোহাম্মদ আলী চৌধূরী, বিশিষ্ট সাহিত্যিক রোমেনা আফাজ, এম.আর আকতার মুকুল, বি.এম ইলিয়াস, ভাষা সৈনিক গাজীউল হক, পলস্নী কবি রোসত্মম আলী কর্ণপুরী, কণ্ঠশিল্পি আঞ্জুমান আরা জম্ম গ্রহণ করেছেন।